Monday, October 14, 2013

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ফল খান


বয়স একটু বাড়লে ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার বাধ্যবাধকতা তো আছেই, পছন্দের অনেক খাবারেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। তা ছাড়া অনেক সময় এমনও ঘটে যে উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি বোঝা যায় না, ফলে অনেকে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু বেশ কিছু ফল আছে, যা খেলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এসব ফলের কিছু মৌসুমে আবার কিছু সারা বছর পাওয়া যায়। কিছু ফল দামি আবার কিছু কম দামের ফলও আছে। এসব নিয়েই আজকের আলোচনা।

কলা : রক্তচাপ কমাতে চাইলে কলা দারুণ এক উপায়। কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। অথচ এ ফলটি পটাসিয়ামে ভরপুর। আর পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ অন্তত ২ থেকে ৩ পয়েন্ট কম যায়।

তরমুজ : গ্রীষ্মকালে সহজে পাওয়া এ ফলটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি আঁশযুক্ত ফল। তা ছাড়া ফলটিতে আছে ভিটামিন 'এ', পটাসিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান। আর এসব উপাদানই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

কমলালেবু : চমৎকার সব ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল এটি। ফলটি একদিকে যেমন রসনা মেটায়, তেমনি রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার রস বা কয়েকটা কমলা খেলে শরীরের ভিটামিন 'সি'র চাহিদা মেটানো যায়।

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম থাকলে একদিকে যেমন সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে, তেমনি রক্তচাপও কম থাকে।

আঙুর : সারা দিনের কাজ শেষে এক গ্লাস আঙুরের রস রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। কেননা আঙ্গুরে আছে পোলিফেনলস, যা রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

শিম : শরীরের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আঁশের অভাব মেটানোর দারুণ এক উপায় শীতকালীন সবজি শিম। শিমে থাকা এসব উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৬০ সেকেন্ডেই আয়ত্ত করুন স্বাস্থ্যকর ক'টি অভ্যাস

সুস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবছেন? সুস্বাস্থ্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না। একটু নিয়ম মেনে চললেই হয়। খাবার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া। সমস্ত দিনজুড়ে আপনার খারাপ ও ভালো অভ্যাসগুলোর তালিকা করে ফেলুন। জীবন থেকে মুছে ফেলুন খারাপ অভ্যাসগুলো। স্বাস্থ্য অনুশীলন এখন মাত্র ৬০ সেকেন্ড এর ব্যাপার। আপনি চাইলেই পাল্টে দিতে পারেন আপনাকে। মাত্র ৮টি স্বাস্থ্য অনুশীলনই পাল্টে দিতে পারে আপনার স্বাস্থ্য। অর্জন করতে পারেন সুস্বাস্থ্য। যাপন করতে পারেন কাঙ্ক্ষিত জীবন। তবে জেনে নেই ৮টি স্বাস্থ্য অনুশীলন:


জুতাটি দরজার বাইরে খুলে রাখুন: সারাদিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময়ে যখন ক্লান্ত আপনি দরজার সামনে তখন মাত্র কয়েক সেকেন্ড আরও একটু বেশি খরচ করুন, আপনার জুতা দরজার বাইরে খুলে রাখার জন্য। কারণ আপনার এই জুতায় বহন করছে সারাদিনের যাবতীয় ধূলা-ময়লা, কেমিক্যাল, এলার্জি উৎপাদক দ্রবাদি ও নোংরা কাদা-মাটি যা আপনাকে সহ আপনার পরিবারের সবাইকে বিপদের মুখোমুখি করবে। আর তাই দরজায় মাত্র কয়েক সেকেন্ড খরচ করুন জুতা খুলে রাখার জন্য। তাতে করে আপনার ঘর থাকবে মুক্ত, বিভিন্ন রোগ-জীবাণু থেকে।

হাঁচি দেওয়ার সময়: আমরা এখানে সেখানে যখন-তখন হাঁচি দিয়ে থাকি। আমাদের কাছে যদি টিসু, রুমাল অথবা তোয়ালে না থাকে আর তখনই হাঁচি দেওয়ার পরে বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করে থাকি হাত অথবা শার্টের কাপড়। কিন্তু এটা কতটা নিরাপদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য, একবারও ভেবেছেন কি? হাত অথবা শার্টের কাপড়ে স্বভাবতই প্রচুর ময়লা জড়িয়ে থাকে। আর আমরা যখন এগুলো ব্যবহার করি তখন আমাদের মুখে-নাক আরও বেশি ময়লা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর এই হাঁচি থেকে শুধুমাত্র যে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় বিষয়টি তা নয়, এই হাঁচি ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে- ক্ষতিগ্রস্ত করে গোটা পরিবেশ। আর তাই হাঁচি দেওয়ার সময়ে অল্প কয়েক সেকেন্ড সচেতন থাকায় আপনিসহ সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হতে পারে।

কাজের ফাঁকে চোখের অবসর: আজকাল অফিসগুলোতে কর্মীরা অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা অতি মনযোগ দিতে গিয়ে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে নিবিড়ভাবে তাকিয়ে থাকে। কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে ভুলে যায় নিজের স্বাস্থ্যের কথা। তাদের এই নিবিড়ভাবে তাকিয়ে থাকাতে তৈরি হয় চোখের সমস্যা অথবা মাথা ব্যাথা। এই চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে দরকার হয় কিছুটা চোখের অবসর। চোখ বিশেষজ্ঞরা এই বিষয় একটা নিয়মও তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে নাম দিয়েছেন ২০-২০-২০ রুল। নিয়মে বলা হয়েছে, ২০ মিনিট যদি আপনি স্ক্রিনে চোখ রাখার পড়ে ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় ২০ সেকেন্ডের একটা অবসর দরকার হয় চোখের। আর তার জন্য আপনাকে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার স্ক্রিণ থেকে ২০ ফিট দূরের কোন বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ডের জন্য দৃষ্টি রাখতে হবে। চোখকে স্বস্তি দিয়ে দৃষ্টিকে অন্য কোনোকিছুর দিকে ফোকাস করতে হবে। তারপর আবার কাজে ফিরে আসা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে, দুই হাত ছড়িয়ে শরীরটাকে একটু ঝাঁকুনি দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে নিলে। এভাবেই আপনি আপনার চোখের যত্ন নিতে পারেন। নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন ভবিষ্যতের ভয়াবহ কোন চোখের সমস্যা থেকে।

সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা: নিজেকে সব সময়ে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার ব্যপারে খেয়াল রাখা উচিত সবার। তাতে করে আপনার ত্বক থাকবে সুরক্ষিত সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। শুধুমাত্র তক্বের যত্নে নয়, এ্যাজাইন এবং স্কিন ক্যানসারের থেকেও মুক্তি পাওয়া উপায় হলো সূর্যের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। আর তাই বৃষ্টির দিন হোক আর রৌদ্র উজ্জ্বল দিনইবা হোক প্রতিদিনিই ব্যবহার করা উচিত ছাতা। আর এইভাবে আপনি আপনার ত্বক নিরাপদ রাখতে পারবেন দীর্ঘদিন।

প্রচুর পানি পান করুন প্রতিদিন: কমপক্ষে প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা আমাদের জন্য নির্ধারিত। ৮ গ্লাসের বাইরে যত পানি পান করা যায় কোন সমস্যা নেই। মনে রাখা উচিত আমাদের শরীরের ৬০ ভাগই হলো পানি। আর এই পানি আমাদের শরীরকে বিভিন্নভাবে উপকৃত করে থাকে। এটা আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, খাদ্য চলাচলে সহায়তা করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন; তবে কোষ্ঠকাঠিণ্য রোগের মতো আর বিভিন্ন রোগের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর তাই সব সময় মনে রাখতে হবে প্রচুর পানি পান করা খুবই জরুরি। এই জন্যই প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ড একটু বেশি খরচ করুন পানি পানের বিষয়ে। একটা বিষয়ে নিশ্চিত জেনে রাখুন, পানির কোন বিপল্প নেই।

রান্নাঘর রাখুন সুরক্ষিত: সাধারণভাবে আমরা টয়লেটকেই ভাবি রোগ উৎপাদনকারী জায়গা। নোংরা ময়লা জায়গা। ভেবে থাকি টয়লেট থেকেই জন্ম হয় বিভিন্ন রোগের; কিন্তু সরেজমিন বলে অন্যকথা: রান্নাঘর রোগ উৎপাদনে এখন বেশ সক্রিয়। রান্নঘরে প্রতিদিন অথবা প্রতিবেলাই রান্না করা হয়। আর এই রান্না করতে গিয়ে বিভিন্ন উপাদান যেমন শাক-সবজি, তরকারি, মাছ-মাংস এবং বিভিন্ন ধরণের মশলার উপকরণের বর্জ্য অংশটুকু জমা হয় রান্নাঘরে। আর এই বর্জ্য থেকেই তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া। আর এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত ঘরে। সৃষ্টি হয় বিভিন্ন ধরনের রোগের। আর তাই প্রতিদিন রান্না শেষে ৪৫ সেকেন্ড সময় খরচ করে আপনার রান্নাঘরটি পরিষ্কার করে নিতে পারলে, মুক্ত থাকতে পারবেন অনেক রোগের হাত থেকে। জীবন হবে সুস্বাস্থ্যময়। অনেক বেশি উজ্জ্বল ও নির্মল।

আসছে ম্যালেরিয়ার টিকা

বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা বাজারে আনতে যাচ্ছে ওষুধ উৎপাদনকারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান গ্লাক্সােস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। আফ্রিকার সাতটি দেশের সাড়ে ১৫ হাজার শিশুর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা প্রয়োগে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক নেমে আসার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা এতে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগের এ ফল গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চিকিৎসাসংক্রান্ত একটি বৈঠকে প্রকাশ করা হয়েছে। জিএসকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরটিএস,এস নামের টিকাটি বাজারে আনার আইনগত অনুমোদন চেয়ে ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) কাছে তারা শিগগিরই আবেদন করবে।

জিএসকে অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান- পাথ ম্যালারিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (এমভিআই) সঙ্গে যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করেছে। এতে অর্থায়ন করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা- বিল অ্যান্ড ম্যালিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। টিকাটি তৈরিতে সময় লেগেছে ৩০ বছর।

অ্যানোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ছড়ায়। সারা বিশ্বে প্রতি বছর এ রোগে প্রায় ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ মারা যায়। তাদের বেশির ভাগ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।

জিএসকে জানিয়েছে, ৫ থেকে ১৭ মাস বয়সী শিশুদের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে আরটিএস,এস প্রয়োগ করা হয়। ১৮ মাস পরে দেখা গেছে তাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়নি। তবে ছয় থেকে ১২ সপ্তাহের শিশুদের ক্ষেত্রে এ সফলতার হার মাত্র ২৭ শতাংশ। ইএমএর অনুমোদন পাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ২০১৫ সালের গোড়া থেকে আরটিএস,এস ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করতে পারে। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।

সব মেয়েরাই ছেলেদের কাছে যে ১০টি জিনিস চায়

নারীরা তার প্রিয় মানুষটির কাছে কতো কিছুই না চায়। পুরুষরা বলেন, নারীর চাওয়ার নাকি শেষ নেই। কিন্তু বহু মনো-পরীক্ষা আর গবেষণার পর এ রহস্যভেদের চেষ্টা চালিয়েছেন অভিজ্ঞরা। তারা বলছেন, সব নারীর মোটামুটি ১০টি মৌলিক চাওয়া আছে যা একজন পুরুষের কাছে তারা আশা করে থাকে। এ ১০টি বিষয় জেনে রাখলে আপনি প্রেমিকা বা অর্ধাঙ্গিনীকে অনেক সুখী করতে পারেন। বহু নারী নিজেরাই এ কথাগুলো বলেছেন। তাদের ভাষাতেই তুলে দেয়া হল।
১. ছেলেটা আমাকে শুধুই দেখতে চায়- এ আকাঙ্খা সব নারীরই থাকে তার পুরুষ সঙ্গীর কাছে। অবসরে মোবাইলে মিষ্টি মেসেজ, ফুল, চকোলেট, কার্ড, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি কাজে ছেলেরা যেনো কখনোই ক্ষান্ত না দেয়। আমরা মনেপ্রাণে চাই যে আমার প্রেমিক যেনো এসব কাজ সবসময় করে।

২. আমরা নিরাপদ বোধ করতে চাই। একটা ছেলের সাথে সময় কাটানোর সময় যেনো মনে হয় পরিবারেরই কারো সাথে আছি। তাকে আমি চিনি-জানি। কাজেই ছেলেদর উচিত আমাদের কাছে নিজেকে স্পষ্ট করে তোলা।

৩. তুমি আমার সবকিছু, আমার প্রিয়তমা- এমনভাবেই যেনো ছেলেরা আমাদেরকে দেখে। মেয়ে হয়ে আমরা তোমাদের সমান নই, তা মানতে রাজি নই। আমাদের সব কাজেই তোমাকে এগিয়ে আসতে হবে তা কিন্তু নয়। আবার তাই বলে ছেলেদের ভদ্রতা বা সৌজন্যবোধ সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সজাগ। মেয়েরা আসলে পুরুষের কাছে নিজেদেরকে খুব ঐশ্বর্যমন্ডিত, আদুরে এবং সৌন্দর্য্যের উপমা হিসেবে দেখতে চায়।

৪. আমরা কথা বলতে পছন্দ করি। আর এসব কথা আমার প্রেমিক বা হাজবেন্ড মনযোগ দিয়ে শুনলে আমাদের আর কিছুই চাই না। সব কথাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নয়। অযথা বকবক হলেও আমাদের কথা বলতে ভাল লাগে। ছেলেরা শুধু শুনলেই চলবে।

৫. আমরা আশা করি ছেলেরা যেনো সম্পর্কের নানা ঘটনা বা বিশেষ সময়টি মনে রাখে। কারণ সে যা পছন্দ করে তা নিশ্চয় মনে রাখে। ক্রিকেট খেলা কোন দিন বা অমুকের সঙ্গে মিটিং কবে এসব মনে রাখতে পারলে আমাদের প্রথম প্রপোজের দিন বা মেয়েদের জন্মদিন কেনো মনে রাখতে পারবে না।

৬. আমরা সাজগোজ করতে ভীষণ ভালবাসি। কাজেই যেকোনো সময় আমাদের রূপচর্চা বা সাজসজ্জার ব্যাপারে উদার হতে হবে। আর এ কারণে অন্যরা আমাদের দিকে একটু বেশি তাকালে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কারণ আমি সারাক্ষণ তোমার বুকেই আছি।

৭. ছেলেরা যা কথা দেয় সেগুলো রাখলে মেয়েরা বেজায় খুশি হয়। মেয়েরা হালকা সৌজন্যবোধ পছন্দ করে। ছেলেদের সময়ানুবর্তীতা আমাদের কাম্য। আর যদি কিছু পরিবর্তন ঘটতে থাকে তাদের মনে, তবে তা খোলাসা করে বলে দেয়াই ভাল।

৮. মেয়েদের মন থেকে ভালবাসতে হবে। ঠিক যেমন ছেলেরা মেয়েদের মোহনীয় সৌন্দর্য্যে পাগল, আমরাও তেমনি স্বপ্নীল প্রেমালাপ আর খাঁটি ভালবাসা পেতেই অপেক্ষা করি।

৯. আমরা খেলা ও খেলতে পছন্দ করতে পারি। তবে তা যে ছেলেটির পছন্দের হতে হবে তা কিন্তু নয়।

১০. এটা ছেলেরা হয়ত বিশ্বাস করতে চাইবে না; কিন্তু একেবারে সত্যি। আমরা সবসময় ছেলেদেরকে তাদের আড্ডা থেকে দূরে রাখতে চাই না। আমরা বুঝি যে এসবের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আমাদেরও বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভাল লাগে।

খুব সহজ সরল বিষয়। এই ব্যাপারগুলো একটু খেয়াল করে পালন করলেই একটি ছেলে তার প্রিয়তমার অনেক চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পারে। মেয়েরা নিজেরাই তা আপনাদের শিখিয়ে দিয়েছেন অবলীলায়।

গোশতের ভালো-মন্দ

গোশত আমিষপ্রধান একটি খাবার। আমিষ ছাড়াও এতে আছে চর্বি ও নানা রকমের ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম একটি ইবাদত হচ্ছে পশু কোরবানি করা। সে জন্য কোরবানির ঈদে গোশত খাওয়ার প্রবণতা অন্যান্য সময় থেকে অনেক গুণ বেড়ে যায়। সাধারণত কোরবানির পশু হিসেবে গরু, মহিষ অথবা খাসি নির্বাচন করা হয়। গোশত কতটা স্বাস্থ্যকর এ নিয়ে নানা রকমের বিতর্ক রয়েছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ওবেসিটি একটি বড় সমস্যা, সেই সঙ্গে ওই সব দেশে হার্টের রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি। তাই তারা গরু, মহিষ অথবা খাসির গোশত অনেকটাই এড়িয়ে চলে। যদিও কখনো খায়, তাহলে লিন মিট বা চর্বিবিহীন অংশটাকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু আমাদের মতো দেশগুলোতে গোশত খাওয়া হয় উৎসবে অথবা কালেভদে। এ ছাড়া ওবেসিটির মতো সমস্যা আমাদের দেশে এখনো প্রবল আকার ধারণ করেনি, তাই মাঝেমধ্যে গোশত খাওয়া আমাদের জন্য ভালো বৈ মন্দ নয়।

গোশতের ভালো দিক

আমিষের অন্যতম উৎস : প্রতি ১০০ গ্রাম গরু, মহিষ অথবা খাসির গোশত থেকে ২০-২৫ গ্রাম আমিষ পাওয়া যায়। গোশতের আমিষের গুণগত মান অন্যান্য উদ্ভিজ আমিষের তুলনায় অনেক উন্নত। গোশতের আমিষে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো এসিড আছে। শিশুদের আমিষের অভাবজনিত পুষ্টিহীনতা রোধে খিচুড়িতে গোশত যুক্ত করা যেতে পারে। এ ছাড়া যাঁদের ওজন কম তাঁরাও সপ্তাহে কয়েক দিন গোশত খেতে পারেন।

আয়রনের প্রধান উৎস : আয়রন অত্যন্ত দরকারি একটি খনিজ লবণ। আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলা আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। গোশত আয়রনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। গোশতের আয়রনকে হিম আয়রন বলে, যা উদ্ভিজ নন হিম আয়রনের তুলনায় গুণগতভাবে অনেক উন্নত। প্রতি ১০০ গ্রাম গোশত প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ২৫ শতাংশ মেটাতে সক্ষম।

অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ লবণের উৎস : গোশত ভিটামিন বি-৬, নায়াসিন, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাস ও জিংকের অত্যন্ত ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম গোশত এসব ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রতিদিনকার চাহিদার ২৫ শতাংশ মেটাতে সক্ষম। এ ছাড়া রিবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক এসিড ও সেলেনিয়ামের চাহিদা মেটায় ১০ শতাংশেরও বেশি। খাসির গোশতে এসব ভিটামিন ও খনিজ লবণের পরিমাণ অন্যান্য গোশতের চেয়ে বেশি থাকে।

গোশতের ক্যালরি-মূল্য : প্রতি ১০০ গ্রাম গোশত থেকে রকমভেদে ৪৯৮ থেকে ৫১৪ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই শক্তির জন্য গোশত খাওয়া যায় সপ্তাহে এক বা দুই দিন।



বিভিন্ন অঙ্গের পুষ্টিগুণ

* গরু, মহিষ অথবা খাসির বিভিন্ন অঙ্গের আছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ। লিভার, হার্ট, কিডনি ও মগজ নানা রকমের ভিটামিন ও খনিজ লবণে বেশ সমৃদ্ধ।

* সব রকমের গবাদি পশুর মাংসে ভিটামিন বি-১২ আছে প্রচুর পরিমাণে। প্রতি ১০০ গ্রাম অর্গান মিট প্রতিদিনকার ভিটামিন বি-১২-এর চাহিদার ১০০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম।

* লিভার আমিষ, আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন ও ভিটামিন-এ-এর উত্তম উৎস।

* কিডনি আমিষ, আয়রন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ও ফলিক এসিডের ভালো উৎস।

* হার্ট থেকে পাওয়া যায় আয়রন ও জিংক, তবে তা লিভার ও কিডনির তুলনায় কম।

* সব অর্গান মিটে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল আছে, বিশেষত মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।


গোশতের মন্দ দিক

চর্বির আধিক্য : যদিও কিছু পরিমাণ চর্বি সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার, গোশতের চর্বির মাত্রা বেশি হলে তা শরীরের জন্য খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। তাই গোশত কাটা এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান চর্বি ফেলে দেওয়া ও না খাওয়াই উত্তম। কেননা অতিরিক্ত চর্বি হার্টের অসুখসহ নানা রকম শারীরিক অসুবিধার কারণ হতে পারে। খাসির গোশতে চর্বির পরিমাণ অন্যান্য গোশতের তুলনায় বেশি- তাই যাদের হার্টের সমস্যা বা ওজন বেশি তাদের খাসির গোশত পরিহার করা উচিত।

কোলেস্টেরলের উপস্থিতি : গোশতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে, যার অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত গবাদি পশুর মাংসে কোলেস্টেরল থাকে বেশি। মগজ ও খাসির মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অত্যধিক। তাই পারতপক্ষে এগুলো না খাওয়াই ভালো।

সতর্কতা

পেট ফাঁপা ও কিডনিতে পাথর হলে গোশত একেবারে বাদ দিতে হবে। বাত হলে মগজ, গুর্দা, কলিজা ও সংরক্ষণ করা গোশত নিষেধ। তবে তাজা গোশত পরিমিত খেলে ক্ষতি নেই। কিডনির অসুখ ও হার্টের অসুখে গোশত যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। লিভার, গলব্লাডার ও প্যানক্রিয়াসের অসুখে প্রাণিজ চর্বি বাদ দেওয়া উচিত। যাদের ওজন বেশি তাদের গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা দরকার। প্রতিদিন ৯০-১০০ গ্রামের বেশি প্রাণিজ আমিষ না খাওয়াই ভালো।


ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডায়েট সলিউশন
www.dietsolutionbd.com

মাংসের নতুন বিপদ
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশু বিশেষ করে গরু মোটাতাজা করার প্রচলন বহু দিন থেকেই। কিন্তু কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করার পরিবর্তে স্টেরয়েড ও হরমোন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে প্রয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন অ্যান্টিহিস্টামিন ও ভিটামিনের উচ্চ মাত্রা। এতে গরু দ্রুত মোটাতাজা হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু মানুষের জন্য তৈরি করেছে নতুন বিপদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ল্যাবএইড, গুলশান, ঢাকার সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জুলহাস উদ্দিন জানান, বিভিন্ন জটিল রোগে যখন অন্যান্য ওষুধ প্রয়োগে ফল পাওয়া যায় না, শুধু সে ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কোনো অবস্থাতেই সুস্থ মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু গরুর মতো গবাদিপশুর শরীরে ডেক্সামেথাসন, হাইড্রোকর্টিসনের মতো স্টেরয়েড প্রয়োগ করলে তা মাংসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, ব্রেনস্ট্রোক, অ্যাথেরোস্ক্লোরোসিস, লিভার ও কিডনির অসুখ তৈরি করতে পারে। মাংস খাওয়ার মাধ্যমে অল্প বয়সী শিশুরাও এ ধরনের অসুখের ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ স্টেরয়েড রান্নার তাপে নষ্ট হয় না। এ ছাড়া গরুর শরীরে প্রয়োগ করা বিভিন্ন হরমোন মানবদেহে বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা তৈরি করতে পারে। এমনিতেই গরু-খাসির মাংসে যথেষ্ট ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তাই নতুন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে মোটাতাজা গরুর মাংস এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো উপায়।

শিখে নিন চা বানানোর সঠিক পদ্ধতি

আপনি ভাবতে পারেন, চা বানানো- এ আর এমন কি। কিন্তু সত্যটি হচ্ছে এই যে- আপনি হয়তো জানেন চা কীভাবে বানাতে হয়। তবে আসল চা কীভাবে বানাতে হয়- এটা আপনি জানেন না। গরম পানিভর্তি কাপে টি-ব্যাগ ভিজিয়ে দেওয়া কিংবা পাত্রের ভেতর চা দিয়ে তাতে গরম পানি ঢেলে দেওয়া- এটা কে-না জানে। কিন্তু এতে আসল চা হয় না।
আসল চা বানানো মানে চলন্ত গাড়িতে বসে দ্রুত আসনে ঠেস দিয়ে বসা নয়। অবশ্য কফির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু চা বানাতে হয় ধীরে, অর্থপূর্ণভাবে তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে মোহাবিষ্ট করতে হয়। চা বানানো সহজ কাজ নয়। এ মত কয়েক প্রজন্ম ধরে চা তৈরিতে পারদর্শী বিশেষজ্ঞদের।

তারা বলেন, "চায়ের রং, এর শরীর ও গন্ধ- এ তিনটি উপাদান চিনতে পারাটাই আসল বিষয় নয়। অধিকাংশ মানুষই ভুল করে এটা ভেবে যে, রং ঠিক তো সব ঠিক। যদি তাই হয় তবে বুঝতে হবে আপনি আবারও ভুল করলেন।

কাপের গরম পানিতে টি-ব্যাগ মৃদু ঝাঁকি দেওয়া কিংবা যতক্ষণ না এটা ঘন হয় পাত্রটিকে ঘোরানো অথবা পোড়া আঠালো মিছরির রং- এসবই ভাল। তবে ঠিক রংটা ঠিকমতো হয়েছে- তবে এটাই সব কিছু নয়। আসল চায়ের জন্য  আপনাকে যা করতে হবে তা হলো: বিলম্বিত লয়, ধৈর্য্য ধারণ এবং নিজস্বতা অর্জনের ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়া। এর সব কিছুরই শুরু হয় কেটলিতে পানি গরম হওয়ার শুরুতেই।

এ জন্য মেনে চলুন নিচের নির্দেশনাগুলো:

সব সময় ট্যাপের ফ্রেশ পানি ব্যবহার করুন। ভালো চায়ের জন্য পানিতে অক্সিজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার,  কেননা এটি চায়ের ফ্লেভারকে সরিয়ে দেয়। পানি ফোটান তবে তা বেশিক্ষণ নয়।

পানি ফুটে গেলে কেটলি থেকে ফুটন্ত পানি ঢালুন এবং চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। এতে পানিতে থাকা অক্সিজেন বেরিয়ে যাবে এবং যখন চা-পাতা মেশানো হবে তখন এর ফ্লেভার বেরিয়ে যেতে পারবে না। এরপর ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই এতে চা-পাতা মেশান।

আপনি যদি কালো চা পছন্দ করেন তবে চায়ে ফুটন্ত পানি ঢালুন তারপর অপেক্ষা করুন আড়াই থেকে তিন মিনিট। এই সময়টুকু দিতে হবে এ কারণে যে- এই সময়ের মধ্যে চায়ের স্বাদটুকু পানিতে মিশে যেতে পারে।

যদি আপনি সবুজ চা খেতে চান তবে গরম পানিতে চা-পাতা দেওয়ার পর দুই মিনিটের বেশি রাখবেন না- কারণ এতে চা তেতো হয়ে যেতে পারে। সব শেষে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে তাতে দুধ মেশান।

একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে। তা হলো: চায়ের জন্য প্রথমেই দুধ ঢালতে হবে। তারপর চায়ের লিকার। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। আসলে আগে চায়ের লিকার তারপর দুধ।

নারীদের জানতে হবে যে ১০ জিনিস

১. কেউ ফোনে কল করার অর্থ এই নয়- আপনি প্রেমের প্রস্তাব পেতে যাচ্ছেন:

হঠাৎ করেই আপনার কাছে এলো একটি অপরিচিত কল। কিংবা পরিচিতও হতে পারে- তবে, অপ্রত্যাশিত আপনার কাছে। ভাবতে পারেন হয়তো ছেলেটি তার মেয়ে বন্ধুর শূন্য পদে আপনাকে রাখতে চায়। আপনার এ ধারণা ভুলও হতে পারে। হতে পারে সে আপনার সঙ্গে শুধু কথা বলতেই আগ্রহী। সুতরাং এ রকম ক্ষেত্রে বিষয়টি ভালো করে ভাবুন।

২. মেকআপ ছাড়াই আপনি সুন্দর:

আপনার সাজ-সজ্জা সবই ঠিক আছে। কিন্তু আপনার পুরু মেকআপ হয়তো বন্ধুর ভালো নাও লাগতে পারে। সুতরাং নিজেকে সাধারণ ও স্বাভাবিক মেকাপে রাখুন। এ আপনার অকৃত্রিমতা ফুটে উঠবে।

৩.  শিশুসুলভ আচরণ ছাড়ুন, এসব হতাশাজনক:

হয়তো আপনার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে কোথাও গেলেন। সেখানে দেখা হলো আপনার অন্য মেয়েবন্ধুদের সঙ্গে। আর এতে আপনি মুখ চেপে রহস্যজনক হাসি হাসলেন কিংবা লাফাতে শুরু করলেন। এ ধরনের আচরণকে আপনার সঙ্গী শিশুসুলভ বলে ভাবতে পারে, যা তার পছন্দ নাও হতে পারে।

৪. ক্লাস রুমের আচরণ বাইরে করবেন না:

আপনার ছেলেবন্ধুটি হয়তো আপনার সাহচর্য চায়। আপনারা একসঙ্গেই রয়েছেন। অথচ এই সময়ে আপনি বন্ধুর কাছ থেকে নোট নিচ্ছেন কিংবা ফিসফিসানি করছেন। আপনার অন্য বন্ধুরা তখন টেবিলে অন্যদের সঙ্গে গল্প করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার ছেলেবন্ধুটি ভাবতে পারে আপনি এখনও ক্লাসরুমেই আছেন। সুতরাং এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। অবশ্য আপনি না চাইলে ভিন্ন কথা।

৫. ছেলেবন্ধুকে প্রশংসা করুন প্রশংসাযোগ্য হলে:

বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে এমন কোন ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে থাকলে নিজের ব্যাপারে একটু বেশিই ইতস্তত করে ছেলেটি। মনে করে, মেয়েরা তাদের চুল, ত্বক, ওজন আর কাপড়ের ব্যাপারে মনোযোগী বেশি। তার এই ইতস্তত ভাব দূর করতে আপনি তাকে বলতে পারেন তার চুলের কাটিং কেমন হয়েছে কিংবা কেমন লাগছে তাকে নতুন টি-শার্টে। তবে এর মধ্যেও আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরামর্শ দিতে ভুলবেন না।

৬. গুরুতর বিষয়ে আন্তরিক থাকুন:

হ্যাঁ, ছেলেরা ভালো করেই জানে, আপনার মধ্যে একটু পাগলাটে ভাব আছে। কিন্তু ভাববেন না, এতে আপনি গুরুতর অপরাধ থেকে পার পেয়ে যাবেন। তাই,  আপনি যেমনই হোন না কেন, গুরুতর বিষয়ে আন্তরিক থাকুন।

৭. কেবল নিজের কথা অন্যকে শোনাবেন না:

এটা সবারই জানা যে কোনো ছেলেবন্ধুই- যে অন্তত ছিটকে পড়তে চায় না- কখনও বলতে চায় না যে তার মেয়েবন্ধুটি মোটা হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে আলাপে শরীরের ওজনের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে চলুন। কেননা এতে বিব্রত হতে পারে সে।

৮. এড়িয়ে চলুন আঁটসাঁট পোশাক

আপনার পছন্দ হতে পারে, কিন্তু আপনার আঁটসাঁট পোশাক আপনার ছেলেবন্ধুর পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ অধিকাংশের কাছেই এটি মার্জিত নয়। তা ছাড়া এমন পোশাকে বেপরোয়া আর নিরাপত্তাহীন মনে হতে আপনাকে। তাই এটা করতে গিয়ে আপনাকে সত্যিই  বেপরোয়া মনে হচ্ছে কি-না, তা ভেবে  দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

৯. অধিকাংশ ছেলেরাই উপযুক্ত মেয়েটিকেই চায়:

মেয়েরাই যে কেবল উপযুক্ত ছেলেটিকে বেছে নিতে চায়, তা নয়, ছেলেরাও চায় তার মেয়ে সঙ্গীটি উপযুক্ত হোক। সুতরাং ভালোবাসার খেলায় সব ধরনের কাঁচুমাচু ভাব ত্যাগ করুন, সিরিয়াস হোন।

১০. যদি আপনি তাকে পছন্দ করেন, বলে ফেলুন:

অনেকে ভালো লাগা- না লাগার বিষয়ে রহস্যময়তা পছন্দ করেন। এটা ঠিক নয়। যদি আপনার কাউকে ভালো লাগে তবে এমন ভান করবেন না যে আপনি তাকে অবহেলা করেন। যদি সে আপনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় এবং আপনারও অবস্থা থাকে একই রকম- তবে প্রকাশ করুন তা। যাচাই করার অধিকার আপনার নিশ্চয়ই আছে। তবে কাউকে কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘ সময় অপেক্ষমান রাখবেন না।

Sunday, October 13, 2013

যে ১৩টি মিথ্যা মেয়েরা অহরহ বলে

মেয়েরা কিছু মিথ্যা বলে স্রেফ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অথবা পরিস্থিতি সামাল দিতে। অনেক সময় সংঘাত বা তর্ক এড়াতেও তারা এ কাজটি করে। মেয়েরা যে মিথ্যাগুলো বলে সেগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ১৩টি জেনে নিন:

১. আমি তো তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম না।

২. আমি তোমাকে পছন্দ করি কিন্তু কখন আমার মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হবে জানি না।

৩. এখনই যদি আমি রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেই, তবে তোমাকেই বেছে নেব।

৪. আমার মনে আমাদের বিলটা শেয়ার করা উচিত। সবসময় তুমি দেবে কেন?

৫. আমি কখনোই বুঝতে পারিনি- এটা আমার এত ভাল লাগবে।

৬. যৌনতা মজার বিষয়।

৭. হোক ছেলেটা টাকমাথার এবং দেখতে খারাপ। কিন্তু টাকা তো আছে। একটা নিশ্চিত জীবন পাওয়া যাবে।

৮. আমি সবকিছু আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না। ঘ্যানঘ্যানও করতে চাই না।

৯. আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছিলাম।

১০. আমি যদি তার সঙ্গে না থাকি, তবে সে আরেকজনকে ঠিকই খুঁজে নেবে।

১১. তোমার কোনো ভুল নেই, আমারই কোথাও ভুল হয়েছে।

১২. তোমার বাড়ির লোকদের সঙ্গে আমি ভালই আছি। হাজার হোক তারা তো আমারই পরিবার।

১৩. তুমি যদি বন্ধু হতে চাও- আমার আপত্তি নেই। আমিও তাই ভাবছিলাম। কেন শুধু শুধু জটিলতা ডেকে আনা?

ঘরের ব্যায়ামে পেটানো শরীর

চওড়া বুক, দুই হাতের বাহু শক্তপোক্ত- এমন পেটানো শরীর অনেক তরুণের স্বপ্ন। তবে শুধু স্বপ্ন দেখলে তো হবে না, তার জন্য করতে হবে পরিশ্রম। নিয়মিত অনুশীলন করেই এমন পেটানো শরীরের অধিকারী হওয়া যাবে। এ জন্য শুধু পুশ আপই যথেষ্ট। নির্দিষ্ট নিয়মে নিয়মিত পুশ আপ করে এমন শক্তপোক্ত শরীরের অধিকারী হওয়া কঠিন কিছু নয়।



সুপারম্যান পুশ আপ : এই পুশ আপে কোর অঞ্চল এবং বাইসেপ ও ট্রাইসেপ অংশের মাংসপেশির উপকার হয়। এই পুশ আপে হাত মাথার সামনে রেখে করতে হবে। পাশাপাশি একবার ডান হাত ও বাঁ পা শূন্যে রাখতে হবে। হাত ও পায়ের পরিবর্তন করে, অর্থাৎ এবার বাঁ হাত ও ডান পা শূন্যে রেখে পুশ আপ করতে হবে।

ফিঙ্গার টিপ পুশ আপ : এটি সাধারণ পুশ আপের মতো। তবে হাতের তালুর ওপরে ভর নয়, শরীরের ভর থাকবে হাতের আঙুলের ওপর। আর হাত দুটি মাথার সামনে টান টান অবস্থায় রেখে পুশ আপ করা ভালো। এই পুশ আপের ফলে কবজি ও কাঁধের শক্তি বাড়ে। দুই হাতে কাঁধের প্রস্থের তুলনায় বেশি ফাঁকা রেখে পুশ আপ করতে হবে। ধীরে ধীরে শরীরকে মাটির দিকে নামাতে হবে যতক্ষণ বুক ও মাটির মধ্যে পার্থক্য তিন ইঞ্চি পরিমাণ না হয়। বুকের উচ্চতা সর্বনিম্ন অবস্থানে নামার পর এক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে দ্রুত আবার আগের অবস্থায় ফিরতে হবে। শরীরকে ওপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে দুই হাত মাটির স্পর্শ থেকে তুলে হাততালি দিয়ে আবার হাত মাটিতে নামিয়ে আনতে হবে। এভাবে কয়েকবার অনুশীলন করতে হবে।

এক হাতে পুশ আপ : স্বাভাবিক পুশ আপের ভঙ্গিতে উপুড় হয়ে শুতে হবে। এবার এক হাত পিঠের ওপর রেখে অন্য হাতের ওপর ভর করে শরীরকে মাটি থেকে ওপরে তুলতে হবে। হাত সোজা হওয়ার পর আবার শরীরকে নিচের দিকে নিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে হবে।

৫ ভিটামিন গ্রহণ থেকে দূরে থাকুন


আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিনিয়তই আমরা ভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকি। এটা আমাদের কাছে একটি সর্ব্বোচ মাধ্যম সুস্বাস্থ্য গঠনের জন্য ক্ষেত্রে। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা এবং ভিটামিনের অভাবে কি ভয়াবহ রোগ আমাদের আক্রান্ত করতে পারে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই খাবারের মধ্যে সন্নিবেশিত ভিটামিনের বাইরেও আলাদা করে ভিটামিন ট্যাবলেট ক্রয় করে সেবন করে থাকেন। প্রতিটি ফার্মিসিতেই প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে প্রচুর ভিটামিন ট্যাবলেট এবং ভিটামিন সিরাপ অথবা শক্তি বর্ধক সিরাপ নামে। এবং খুব দ্রুতই বাংলাদেশে ভিটামিন বিক্রির বেড়ে যাচ্ছে। সবাই ভিটামিনের অভাব পূরণের জন্য ভিটামিনযুক্ত খাবারের বদলে ভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে জরুরি কথা হলো, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার ভিটামিন ট্যাবেলট খাওয়া উচিত নয়। গবেষণা করে দেখা গেছে, ভিটামিন ট্যাবলেট সেবনের কারণে শরীরের ভিটামিন পূরণের চেয়ে শরীরের ক্ষতি সাধনের ঘটনাই ঘটছে বেশি । আর তাই আমাদের সর্বাধিক ব্যবহৃত যে ৫ টি ভিটামিন থেকে দূরে থাকবে হবে তা হলো :

ভিটামিন সি,

সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিটামিন ট্যাবলেটের নাম ‘ভিটামিন সি’। মজার বিষয় হলো এই ‘ভিটামিন সি’ পাওয়া আমাদের আশে-পাশের প্রায় সবগুলো শাক-সবজি ফল-মূলের মধ্যে কিন্তু আমরা ট্যাবলেটে এই ভিটামিনটি সেবন করতে বেশি আগ্রহি হই। সম্প্রতি অনেক মানুষের স্কাভি রোগের কারণে মৃত্যু ঘটছে। এর পিছনে একটাই কারণ তাহলো ‘ভিটামিন সি’র অভাব। আমরা একটু পিছনে ফিরে যাই ১৭০০ সালে স্কটল্যান্ডের এক বিখ্যাত ডাক্তার জেমস লাইন্ড এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছেন, বাতাবী লেবু স্কাভি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তখনো কিন্তু ভিটামিন সি আবিস্কৃত হয়নি। ‘ভিটামিন সি’ আবিস্কৃত হয় ১৯৩০ সালের দিকে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ভিটামিন সি। এই জনপ্রিয়তার পেছনের গল্প হলো বিখ্যাত রসায়নবিদ লিনাস পউলিং এর ১৯৭০ সালে দেয়া ভূল ব্যাখ্যা। যেখানে সে উল্লেখ করেছে, ‘মেগা ডোস অব সি’ যেকোন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু সে সম্পূর্নভাবেই ভূল ব্যাখ্যা দিয়েছিলো। যদিও তিনি একজন প্রখ্যাত নোবেল প্রাপ্ত রসায়নবিদ। তার ভূল ব্যাখার প্রমাণ মেলে, পউল অফিট এর ‘ডু ইউ বিলিভ ইন ম্যাজিক’ নামের বইটিতে। মোদ্দা কথা হলো, সাধারণভাবে ভিটামিন সি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু মেগা ডোস অব ২০০০ এমজি অথবা তার উপরের ভিটামিন সি’র কারণে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটা গ্রহণ করা উচিত নয়।

ভিটামিন এ এবং বেটা কেরোটিন,

ভিটামিন এ, সি এবং ই সবসময় এ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউশনের গবেষণায় বলা হয়েছে, ধূমপায়ীদের মধ্যে যাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে তাদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম। ভিটামিন এ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকলেও অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত উপাদানের জন্ম হয়। যার কারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে লিভারে। ধারণা করা হয়, দক্ষিণমেরু অঞ্চলে সমুদ্র যাত্রার সময়ে ডগলাস ম্যাওসন অবাক ভাবে বেঁচে গিয়েছিলো কিন্তু তার সহযাত্রীরা সবাই মারা গিয়েছিলো ‘ভিটামিন এ’ এর বিষাক্ত প্রক্রিয়ায়।

ভিটামিন ই,

ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘ভিটামিন ই’ এই জনপ্রিয় ব্যাখ্যাটি পুরোপুরি মিথ্যা। গত বছওে আমেরিকায় ৩৫ হাজার ৫শ ৩৩ জন মানুষকে নিয়ে ‘ভিটামিন ই’ এবং ‘প্রোস্টেট ক্যান্সার’ এর উপর গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে বেশির ভাগ ক্যান্সারের কারণ হলো অতিরিক্ত ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল গ্রহণ করা। তাছাড়া আরেকটি রিভিউতে জনস হোপকিং ইউনিভার্সিটি, এডগার মিলার এবং লরেন্স এ্যাপেল বলেছেন, অতিরিক্ত ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল সেবনের ফলে ক্যান্সার হয়ে থাকে। ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুলের ব্যপারে দ্যা ম্যালো ক্লিনিক সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন এইভাবে, গবেষণা বলে নিয়মিত হাই ব্লটেজ ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল গ্রহণের কারণে মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে। আর তাই আমাদের সবার উচিত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল সেবন থেকে বিরত থাকা ।

ভিটামিন বি ৬,

‘ভিটামিন বি’, তার পাশাপাশি ‘ভিটামিন বি ৬’ এবং ‘বি ১২’ প্রচুর খাবারের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। এই ভিটামিনগুলোর অভাব খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু খাবারের বাইরে আলাদাভাবে ’ভিটামিন বি ৬’ ট্যাবলেট গ্রহণ করলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন, এনআইএইচ ওয়েবসাইট। প্রচুর পরিমাণে ‘ভিটামিন বি ৬’ ট্যাবলেট গ্রহণের ফলে মানুষের শরীরের নার্ভস নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সুস্থ্য মানুষের হাত-পা অথবা শরীরের নড়াচড়া করার ক্ষমতা হাড়ানোর সম্ভাবনাও আছে। তাই কিছুতেই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটাবিন বি গ্রহণ করা উচিত না।

মাল্টি ভিটামিন,

বাংলাদেশে মাল্টি ভিটামিন সেবনের সংখ্যা সর্বাধিক। এবং প্রত্যেকের কাছেই মাল্টিভিটামিন সেবনের ব্যপারে ভালো খবর পাওয়া যায়। প্রতিনিয়ত মানুষ তার শরীরের বিভিন্ন ক্ষয় পূরণের জন্য মাল্টিভিটামিন ব্যবহার করছে। অনেক সময় শরীরে অতিরিক্ত শক্তি বর্ধনেও এইগুলোর ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু সত্য খুবই কঠিন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়া পিছনে একটা বড় কারণ হচ্ছে নিয়মিত দীর্ঘদিন-যাবত ‘মাল্টি ভিটামিন’ ট্যাবলেট অথবা মাল্টিভিটামিন আছে এমন জিনিস সেবন করা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপাদানগুলো হলো ভিটামিন বি ৬, ফলিক এসিড, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক এবং কপার। এর প্রতিটি উপাদানই মানুষকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নেয়। বাংলাদেশে এই ধরণের মাল্টি-ভিটামিন উপাদানগুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন এ্যার্নজি ড্রিঙ্ক অথবা পানীয়র মধ্যে যা শক্তি বর্ধকের নামে মানুষের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ করে দেয়।

সমস্ত কিছু বিবেচনায় এটা আমাদের কাছে পরিস্কার হয়েছে যে, এই ৫ টি ভিটামিন সামন্য সুবিধা অথবা কোন সুবিধাই আমাদের জন্য বয়ে আনে না। ভিটামিন ট্যাবলেট কখনোই আপনার ক্লান্ত দূর করে দিতে পারবে না। ভিটামিন ট্যাবলেট কখনোই আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবে না। বরং আমাদের তিলে তিলে অসুস্থ্য করে তুলতে সাহায্য করবে। যদি ভিটামিন এই সব ক্ষতিই করে তবে আমরা কেন আলাদাভাবে ভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ করবো? তাই আমাদের উচিত এই ভিটামিনগুলো বর্জন করা। যদি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ভিটামিন ট্যাবলেটের জরুরী হয়ে উঠে তবে একজন দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ট্যাবলেট সেবন করাটাই শ্রেয়।

জীবনে যে ৮ বন্ধুকে ত্যাগ করা জরুরি

বন্ধু ছাড়া জীবন- ভাবলেই স্পষ্ট হয় জীবনের অপূর্ণতা। একজন বিপদে পড়া বন্ধুকে হাত ধরে টেনে তুলতে পারে আরেকজন বন্ধুই। সুতরাং আপনার উচিৎ জীবনের জন্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গ নেওয়া, তাদের এঁটে ধরে রাখা। কিন্তু সেইসঙ্গে আপনার উচিৎ কয়েক রকম বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করা। জেনে নিন যে আট রকম বন্ধুকে আপনি ত্যাগ করবেন:


১। যে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী:

সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে কে না চায়। কিন্তু সবাই কি পারে সেখানে যেতে? প্রতিযোগিতায় অন্যদের পেছনে ফেলে তবেই সেখানে পৌঁছানো যায়। আপনার কোন বন্ধুই হয়তো দিন-রাত পরিশ্রম করছে এ জন্য, হয়তো আপনিই পেছনে পড়ছেন এতে- ক্ষতি নেই। কিন্তু অসুস্থ প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুতরাং এমন প্রতিযোগী বন্ধুকে আজই বলে দিন 'বিদায়'।

২। যে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অনুপস্থিত:

যে আপনার জন্ম দিনে শুভেচ্ছা জানায় না। কিংবা সহমর্মিতা প্রকাশ করে না আপনার কোন নিকটজনের মৃত্যুতেও। যে প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকে নিজের কাজে। আজ আপনি হয়তো তাকে কল দিলেন, উত্তরে মেসেজ আসলো সপ্তাহখানেক পরে।  আপনি হয়তো তাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করলেন অথচ শেষ মুহূর্তে 'না' বললো সে- তাহলে আপনিই তাকে 'না' বলুন- কেননা সে তার জীবনে আপনার অস্তিত্বকে শ্রদ্ধা করে না।

৩। কথার ফুলঝুরিওয়ালা:

প্রকৃত বন্ধু সে-ই হয়, যাকে বিশ্বাস করা যায়। বিশ্বাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; কথা আর কাজের সামঞ্জস্যতা। যে আপনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়- আর অনবরত দিতে থাকে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি- এমন বন্ধুর সঙ্গ ছাড়ুন। কেননা, খুব শিগগির এতে আপনার আত্মসম্মানের ক্ষতি হবে। এর চেয়ে ভালো হয় যদি আপনি আপনার সময় ও শক্তি দুটোই জমা রাখেন তার জন্য- যে আপনার সঙ্গেই থাকতে চায় এবং আপনার পরীক্ষিত।

৪। বিরক্তিকর চটজলদি বন্ধু:

অহেতুক উদ্বিগ্ন অথবা যে আপনার অহেতুক দোষ খোঁজে- যে আপনার কাপড়, চুল, গাড়ি কিংবা যেকোনো বিষয়ে নাক গলায়- এমন খুঁতখুঁতে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোন মানে হয় না। সত্যিকার বন্ধুরা এসব করে না। সুতরাং এমন বন্ধুদের প্রশ্রয় দেবেন না।

৫। গোমড়া-মুখো বন্ধু:

মানুষ মাত্রই পরিচয় তার মননে- চিন্তায়, চিন্তার গভীরতায়। পরিচয় বহন করে তার যুক্তির তীক্ষ্ণ চর্চায়। তবে এসবই তাকে প্রকাশ করতে হয়। মনের ভাব নিষিদ্ধ কোনো বস্তু নয়। তাকে প্রকাশ করতে হয়। সেই সঙ্গে মেনে নিতে হয় যুক্তির হার। এসবের ভেতর দিয়েই মানুষ একে অন্যের পরিপূরক হয়। আপনি যদি আপনার বন্ধুর মধ্যে এই অবশ্যম্ভাবি উপাদানের অনুপস্থিতি দেখেন তবে আপনার উচিৎ হবে তার সঙ্গ ত্যাগ করা।

৬। সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত বন্ধু:

সামাজিক কর্মকাণ্ড- নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ একটি। এটা আপনার জীবনের সঙ্গে অবশ্যই থাকবে। কেননা আপনি শুধু আপনার নন, আপনি সমাজেরও। তবে এ জন্য মানুষ চিনতে হবে। আপনাকে জানতে হবে আপনার সমাজ কর্মী বন্ধু আসলেই এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত কী-না। কেননা এ ধরনের দোহাই দিয়ে অনেকেই চায় আপনার সহানুভূতি পেতে। যদি সত্যিকার বন্ধু রেখে এমন বন্ধুদের বেশি সময় দেন, তবে বুঝবেন- আপনি হাতের মুঠোয় সমস্যাকে তুলে আনলেন।

৭। অফিসের সহকর্মী বন্ধু:

বন্ধু সব জায়গায়ই থাকতে পারে। এমন কি অফিসেও। কিন্তু সমস্যা হলো, বাইরের কোন বন্ধুকে 'না' বলা যতটা আপনার জন্য সহজ, অফিসের বেলায় তা প্রায়ই কঠিন হয়। এতে আপনার ক্যারিয়ারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তাই ভালো হয় অফিসের সহকর্মীকে ভালো সহকর্মী হিসেবেই গ্রহণ করা। আর যদি থেকেই থাকে কোন সত্যিকারের বন্ধু, তারপরও আপনার একটি সীমানা থাকা উচিৎ অন্তত অফিসে- যদি আপনি আপনার চাকরি ও বন্ধু দুটোই হারাতে না চান।

৮। পরচর্চা বা গুজব রটানো বন্ধু:

এমন অনেক বন্ধুই আছে যারা নানা গুজবের জন্ম দিতে উৎসাহী। আর গুজব রটনাকারীরা কথাও বলে বেশি। তার একই নিয়মিত কাজ হলো আপনার কানভারী করা। এ জন্য সার্বক্ষণিক কারণে-অকারণে আপনার ডেস্কের চারপাশে ঘুরঘুর করবে। আপনি এমন গুজব কারবারীর কিছু ব্যাপার ক্ষমা করতে চান কিংবা সহ্য করতে চান কিছু অত্যাচার- ঠিক আছে। কিন্তু সে কি ছোট্ট খুকিটি নাকি যে সর্বদাই আপনার ডেস্কে অকারণ বকবকানি করতে থাকবে। তা ছাড়া আপনি চান না আপনার বস বা অন্য কেউ আড়ি পাতুক আপনার দিকে। চান কি? এটি অহেতুক আপনার ওপর সন্দেহের সৃষ্টি করবে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।